#‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি দেশের অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে’
#‘দেশের অর্ধেক লোককে বাইরে রাখলে তারা কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে’
সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
জাতীয় ঐক্যের নামে অনৈক্যের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ৫০ শতাংশ মানুষকে জাতীয় ঐক্যের ডাক থেকে বাহিরে রেখে জাতীয় ঐক্যের নামে অনৈক্যর সূচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জাতিগতভাবে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছি। কেউ দোষ করলে তার বিচার হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি দেশের অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অবশ্যই অংশ নেওয়া উচিত।
জিএম কাদের বলেন, ‘মাত্র ১৮টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে তারা জাতীয় ঐক্য করেছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল ৫৩টি। ৫০ শতাংশ মানুষকে জাতীয় ঐক্যের বাইরে রাখা হয়েছে। দেশের অর্ধেক লোককে বাইরে রাখলে তারা কি বসে বসে আঙ্গুল চুষবে। এই সরকার মানুষের সমর্থন হারাচ্ছে। তাঁরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হত্যার বিচার শুরু করেছে। অনেককে হত্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে সাংবিধানিকভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এতই ঘৃণিত হয়ে গেলাম! দেশে অস্থিরতার বীজ বপন হয়ে গেল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তারা মন্ত্রী হয়ে নিজেরাই দল গঠন করার চেষ্টা করছে।
গণমাধ্যম নিয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘গণমাধ্যমে চরমভাবে সেল্ফ সেন্সরশিপ চলছে। স্বাধীনভাবে সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।’
এ সময় সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।